হাঁড়কাঁপানো শীতের তীব্রতায় দূর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রকাশিত : ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির:বাগেরহাটের ৯ উপজেলা তীব্রশীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হাঁড়কাঁপানো শীতে যবুথবু প্রাণীকুল। শীতের তীব্রতায় নি¤œআয়ের মানুষেরা চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। সেই সাথে শীতজনীত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন সমাজের বিত্তবানদের এই সময়ে অসহায় শীতার্থদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সপ্তাহ জুড়ে এ উপজেলায় শীত জেঁকে বসেছে। গত দু’দিন ধরে তাপমাত্রা এককের ঘরে নেমে আসছে। রাতে ও ভোরে মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে। সব চেয়ে দূর্ভোগে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। তারা বেলা বাড়ার পর রাস্তাঘাটে বের হয়ে কাক্সিক্ষত আয় করতে পারছেন না। ফলে শীতের সাথে অভাবও তাদের জেঁকে বসেছে। সেই সাথে শীত জনিত রোগে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে।বাগেরহাটের ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডা জনিত রুগীর সংখ্যাও বাড়ছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সরালিয়া গ্রামের শাহ আলম হাওলাদার(৫০) বলেন, আমরা গত ৩-৪ দিন ধরে সময়মতো কাজে বের হতে পারছি না। ঠান্ডায় হাত ও পা অবশ হয়ে যায়। শীতের সাথে অভাব আমাদের জেঁকে বসেছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুফতি কামাল হোসেন জানান, হাসপাতালে সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ নিয়ে রোগী বেশী ভর্তি হচ্ছে। তাদের সকলকে যতেœর সাথে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম বলেন, শীত বাড়ার সাথে সাথে নিয়মিত চারিদিকে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। এ পর্যন্ত তিন হাজার শীতার্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। এছাড়া আরও এক হাজার ৫০০ শীতবস্ত্র ও শুকনো খাবারের বরাদ্দ পেয়েছি। সে গুলো অসহায় শীতার্থদের মাঝে বিতরণ করা হবে। সেই সাথে সমাজের বিত্তবানদের এই সময়ে অসহায় শীতার্থদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।

আপনার মতামত লিখুন :