দশমিনায় রিকশায় চলে জীবন সংসার

প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারি ২০২১

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: বাবা’র মৃত্যুর পর সংসারের দায়িত্ব কাঁধে পড়ে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে সরদার বাড়ির বারেক সরদার(৬৩)। তার বাবা গনি সরদার কৃষি শ্রমিক ছিলেন। তিনি কিছুই রেখে যেতে পারেননি সন্তানদের জন্য। বাবর সম্পত্তির ভাগ পেয়েছেন বারেক ২৪তিল। গ্রামীন ব্যাংক থেকে ৬০হাজার টাকা ঋণ নিয়ে রিকশা কিনেছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে কিস্তি ১হাজার ৬শ’ টাকা দিয়ে সংসার চালাতে হয় তার। মা ও ভাইবোন নিয়ে সাত জনের সংসার ছিলো তার। বাবা মায়ের বারেক বড় ছেলে। দুই বেলা দু’মুঠো খাবার জোটানোর জন্য ওই বয়সেই বারেক কাজে নামতে হয়। কখন যে রিকশার চাকা আর প্যাডেলের সঙ্গে তার জীবন আটকে যায় তা তিনি নিজেও জানেন না।

বারেক জানান, তার সংসারে স্ত্রী, ৩ছেলে ও ৪মেয়ে রয়েছে। ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। মেয়েরা চলে গেছে অন্যের সংসারে আর ছেলেরা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আলাদা হয়ে গেছে। এখন বুড়ো-বুড়ি দু’জনের সংসার। শরীর আর আগের মতো ঠিক নেই। আগে প্যাডেলের রিকশা (বাংলা রিক্সা) চালাতেন। শরীরে আগের মতো জোর না পাওয়ায় ঋণ নিয়ে রিকশা কিনেছেন। তিনি আরও জানান, অসুস্থ থাকার পরও রিকশা চালান তিনি। শেষ জীবনে এসে এভাবে অসুস্থ শরীরে রিকশা চালাতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। এ অবস্থায় সরকারি সহযোগিতার আশা করছেন তিনি। বাড়িতে তিনি ও তার স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। তিনিও জানেন না সরকারি বয়স্ক ভাতা সম্পর্কে। এখন রাস্তায় বহু গাড়ি হয়েছে। আগের মত আয় নাই কিস্তি দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, বয়স্ক ভাতার বিষয়ে আমাদের কাছে ইউপি চেয়ারম্যানরা তালিকা পাঠান। ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা আছে- যারা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য তাদের নাম তালিকাভুক্ত করার জন্য। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে যদি কেউ এসে বলে যে সে বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু পাচ্ছেন না । অবশ্যই আমরা তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

আপনার মতামত লিখুন :