ঊনিশে মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র দিবসে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি যৌক্তিক

প্রকাশিত : ৯ জানুয়ারি ২০২১

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৯ শে মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র দিবসে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি যৌক্তিক। বাঙালি জনতা দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে পাকিস্তানী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম-আন্দোলন করে ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র অর্জন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সুচনালগ্নে গাজীপুরে তৎকালীন জয়দেবপুরে বীর জনতা পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র মুক্তি-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে।

এই দিবসটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতীয়ভাবে পালন করা উচিত। মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমরা পাকিস্তান বাহিনীকে পরাজিত করে দেশকে শস্ত্রমুক্ত করেছিলাম। ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করেছি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অনুপুস্থিতিতে সেই বিজয় পূর্ণতা লাভ করেনি। বঙ্গবন্ধু ৮ জানুয়ারি মুক্তি পেয়ে ১০ জানুয়ারি দেশের মাটিতে পা রাখার মাধ্যমে আমাদের বিজয়ের পরিপূর্ণতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাঙালি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছিদ্য অংশ। তিনি সকলকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কাজ করার আহ্বান জানান।

ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ৮ জানুয়ারি সকালে ‘মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় তৃণমূল চিত্র এবং জাতীয় ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের স্বার্থে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রয়োজন। সঠিক ইতিহাস যেন উঠে আসে। যার যেখানে জায়গা তাকে যেন সেখানে স্থান দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আজমত উল্লাহ খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূইয়া, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল, অধ্যাপক এম এ বারী, মোঃ আতাউর রহমান, শ্রমিক নেতা মোঃ ওসমান আলী, অধ্যাপক মুকুল কুমার মল্লিক প্রমুখ।

 

আপনার মতামত লিখুন :