গলাচিপায় প্রায় অর্ধ শত লাইসেন্স বিহিন অদক্ষ চালকের কারনে ঘটছে দূর্ঘটনা!

প্রকাশিত : ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

সজ্ঞিব দাস, গলাচিপা পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা য় এখন ট্রলিগাড়ির শহর বল্লে ভূল হবেনা। এ উপজেলার মোট আয়োতন ৯ শত ২৫ দশমিক ০৮ বর্গ কিঃ মিঃ এর মধ্যে প্রায় ৮২ কিঃ মিঃ সড়কেই দানবাকৃতি ট্রলি বা উল্কা নামের গাড়ি গুলো অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় চষে বেরায় মাঠ -ঘাট, গ্রাম থেকে শহরের অলিগলি। যেমনি শক্তিশালী তেমনি আবার অদক্ষতার কারনে প্রায়শই সড়কে দূর্ঘটে নানা প্রকার দূর্ঘটনা।

তারই ধারাবাহিতায় ২৭ ডিসেম্বর রবিবার বেলা সারে এগারোটার সময়ে অদক্ষতা আর অসাবধানতার কারনে ফুলখালী কালাম চৌকিদার বাড়ির তিন মূখা সড়কে ইট বোঝাই ট্রলিগাড়ি আর মটর সাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষকালে আরোহী সহ দুইজন আহত হয়। এসময়ে প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, খারিজ্জজমা উত্তর দিক থেকে ইট বোঝাই একটি ট্রলিগাড়ির গলাচিপার উদ্দেশ্য বেপারোয়া ভাবে যাচ্ছিলো, ঠিক ঐ সময়ে তিন মুখা রাস্তার পূর্ব দিক থেকে আসা মটর সাইকেলে দুইজন মুখোমুখি হওয়ার সময়ে ইট বোঝাই ট্রলিগাড়ি সহ পাশের খাদে পরে যায়। এতে মটর সাইকেল আরোহী দুই সহদর আরাফাত ও রিফাত দুইজন আহত হয়ে গলাচিপা উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসাধীন।

পক্ষান্তরে সরকারী নিয়ম নির্দেশনা থাকলেও নানা কৌশলে অদৃশ্যকরণ ইশারায় প্রকাশ্যেই দাপটে চরে বেরায় গ্রাম/গঞ্জ শহর থেকে মহাসড়ক পর্যন্ত। এ যেন আইন আছে প্রয়োগের প্রয়োজন নেই বলেই অদক্ষ চালক মালিক পক্ষের ধারনা।এ বিষয়ে গলাচিপা ট্রলিমালিক সমিতির মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের মুঠোফোন ০১৭১০৬৬২৭৭ এর নাম্বারে কল করে জানতে চাইলে তিনি তা রিসিভ করেনি।

এবিষয়ে পৌর মেয়র আহসানুল হক তুহিন জানান, পৌর শহরে অবৈধ ট্রলিগাড়ির সংখ্যা প্রায় অর্ধশতাধিক হবে। তবে প্রতিটি আইসৃঙ্খলা মিটিং এ নিয়ে তাদের নোটিশ ও মাইকিং করে হুশিয়ার দেওয়া হয়েছে। এতেও কাজ না হলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এবিষয়ে গলাচিপা থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, আসলে বিষয়টি গুরুপ্তপূর্ণ, এ বিষয়ে পৌর মেয়র সাহেবকে জানানো হয়েছে। তবে শীঘ্রই শহরের অবৈধ ট্রলিগাড়ির বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :