বিজয় দিবসে শহীদের প্রতি সাধারণের শ্রদ্ধা
প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর ২০২০
মহান বিজয় দিবসে দেশব্যাপী শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন মানুষ। দিবসের শুরুতেই বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। করোনাকালে স্বাস্থ্যসেবা মেনেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তারা।
খুলনায় সূর্যোদয়ের সাথে সাথে খুলনা গল্লামারি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা অর্পণ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রথমেই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা জেলা ও মহানগর ইউনিট আওয়ামী লীগ বিএনপি প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন।
ময়মনসিংহে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ভোর ৬টা ৩৬ মিনিটে তোপধ্বনি ও শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সালাম জানানোর মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান সূচনা হয়। প্রথমে সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা মনি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পঞ্চগড়ে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই শহরের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটি শুরু হয়। পরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
বাগেরহাটে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপ ধ্বনির মাধ্যমে দিনটির কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সকাল ৭টায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের দশানীস্থ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে গার্ড অব অনার প্রদান ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, সিভিল সার্জন কেএম হুমায়ুন কবির, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোছাব্বেরুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ড. আজাদ ফিরোজ টিপু, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শওকত হোসেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বরিশালে ভোর থেকে বরিশালের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। সকাল ৯টার দিকে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে। করোনার মধ্যেও স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় মানুষের ঢল নামে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এছাড়া মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, হিলি, যশোরসহ দেশের সব জেলার মানুষটি দিবসটিতে শহীদদের যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করেন।