কলাপাড়ায় বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে খাজুরা আশ্রয়ন কেন্দ্রটি

প্রকাশিত : ৬ ডিসেম্বর ২০২০

উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,০৫ ডিসেম্বর।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খাজুরা আশ্রয়ন কেন্দ্রটি এখন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। এটি পর্যটন কেন্দ্র কুয়কাটার অদূরে পশ্চিম দিকে ফাঁসিপাড়া গ্রামে ১৯৯৯ সালে নির্মিত হয়। এখানে ৬০টি পরিবারের ৩’শতাধিক মানুষ বসবাস করছে। মাস যায়, ঘুরে আসে বছর। দুঃখ-কষ্ট লাঘব হয় না তাদের। নির্মাণের পর থেকে চলাচলের জন্য নেই রাস্তা। অথচ নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির শেষ থাকে না। নির্বাচন শেষ হলে সেই প্রতিশ্রæতি কেউ রাখে না এমন সব অভিযোগ আশ্রয়নবাসীদের।

আশ্রয়ন কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা গেছে, অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে এ আশ্রয়ন প্রকল্পটি। ১০টি ব্যারাকে ৬০টি কক্ষ। ৩৬টি টয়লেটের ৩০টি নষ্ট হয়ে রয়েছে ৪ বছর ধরে। এখানে বসবাসকারীদের জন্য ৬টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হলেও ৪টি নষ্ট। ২টি ভাল থাকলেও মাঝে মধ্যে বালু ও লবনাক্ত পানি ওঠে। তাই খাবার পানি আনতে হয় অনেক দূর থেকে। এছাড়া গোসল করতে হয় পাশের খালের ময়লাযুক্ত পানিতে। মোট কথা এ প্রকল্পে বসবাসরত লোকজন নানা সমস্যায় জর্জরিত। এদিকে আলীপুর বন্দরে যেতে ২০০৩ সালে নির্মাণ করা হয় খাজুরা আয়রণ সেতুটি। সেটিও বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। আশ্রয়বাসীরা চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো তৈরী করে চলাচল করছে।

একাধিক আশ্রয়বাসীরা বললেন যদি বর্ষাকালে আসতেন তাহলে দেখতেন আমরা কত দূর্ভোগে থাকি। তাদের দাবী দফায় দফায় সংশ্লিষ্ট দফতরে ধর্ণা দিলেও এগিয়ে আসেনি কেউ। ফলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ আশ্রয়ন প্রকল্পের বসবাসকারীদের। ফাঁসিপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি মো.জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, বর্তমানে টয়লেট ও নলকূপের সমস্যা। জরুরীভিত্তিতে এগুলো সংস্কার করা দরকার। সাধারণ সম্পাদক শ্রী সুধীর চন্দ্র দাস বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে ঘরগুলো উচু করে মাটি ভরাট না দিলে ঘরে থাকা যাবে না।

এ বিষয়ে লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো.আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, আশ্রয়নবাসীর টয়লেট ও নলকূপের সমস্যা সমাধানের জন্য চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহীদুল হক বলেন, নলকূপের সমস্যা অচিরেই দূর হবে। টয়লেট ও ঘর সংস্কারের বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করবো বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

 

আপনার মতামত লিখুন :