মাস্কে সুফল মিলছে অন্য রোগেও

প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর ২০২০

গত মার্চ থেকে করোনা সং’কটের পুরো সময়টাজুড়ে ইচ্ছায় অ’নিচ্ছায় মাস্ক পরছেন রাজধানীতে বসবাসরতদের বড় একটা অংশ। এতে সুফল মিলছে ফুসফুসের শ্বাসক’ষ্টজনিত কয়েকটি গুরুতর জটিল রোগে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, দূষিত বায়ু কিংবা দূষিত জীবাণু হতে ফুসফুসকে সুরক্ষা দেয় মাস্ক। ফুসফুসের ক্যান্সার হোক, এজমার উপসর্গ বেড়ে যাওয়া বা সিওপিডি হোক সকল রোগ প্রশমনে এটি সহায়ক।

জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, গত বছরের অক্টোবর মাসের তুলনায় এ বছর অক্টোবরে শুষ্ক মৌসুমে সর্দি, কাশি, এজমার মতো বুকের রোগের চিকিৎসা নেয়া রোগীর হার নেমেছে প্রায় অর্ধেকে। করোনা তো বটেই, ভবিষ্যতেও বক্ষব্যাধির জটিলতা এড়াতে মাস্ক পড়ার এই চর্চা ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গতমাসে বহির্বিভাগে সর্দি কাশি, এজমাসহ শ্বাসক’ষ্টজনিত রোগী এসেছিল ১৩ হাজার জন। একই সময়ে এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৮ হাজারে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, হাত ধোয়া, মাস্ক পড়া সর্বোপরি স্বাস্থ্যবিধি মানায় এ পরিবর্তন এসেছে।

জানতে চাইলে জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আব্দুস শাকুর খান বলেন, রোগী কমার কারণ হলো ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য হাত ধোয়া, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, মাস্ক ব্যবহার ও অন্যান্য স্বাস্থ্যাবিধি মেনে চলার চেষ্টা। কিছু কিছু রোগের ঋতুভিত্তিক যে প্র’কোপ দেখা দেয়, এবার একটু কম হয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, জনস্বাস্থ্যের মানুষের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার আপাতত মাস্কই হতে পারে রক্ষাকবচ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফার্মাকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সর্বশেষ মানুষটিকে যতক্ষণ টিকা দেয়া না হবে, ততক্ষণ মাস্কই টিকা। বায়ু দূষণ থেকে শুরু করে অনান্য রোগে মাস্ক যে মাত্রায় আমাদের সুরক্ষা দিবে পৃথিবীর চলমান গবেষণা, কোন টিকা সেই মাত্রার সুরক্ষা দেয় না। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, দেশে প্রায় ১ কোটির অধিক মানুষ এজমায়, আর ক্রনিক ব্রংকাইটিকসে ভুগছে ৬১ লাখেরও বেশি মানুষ। ফুসফুসের সং’ক্রমণজনিত এসব জটিল রোগের বড় অংশে দায়ী বায়ু দূষণ। তাই দীর্ঘ মেয়াদে মানুষের মুখে রাখতেই হচ্ছে মাস্ক।

আপনার মতামত লিখুন :