অসংখ্য ডুবোচর ফলে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর ২০২০

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: ধান-নদী-খাল, এই তিন নিয়ে বরিশাল। প্রবাদটি এক সময়ে দেশের মানুষের মুখে মুখে ছিল। এখন সে প্রবাদ গল্পে রূপ নিয়েছে। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ছিলো নদী পথ। কিন্তু সময়ের ব্যবধান আর মানুষ ও প্রকৃতির বৈরিতায় এ সব নদীর প্রায় সবই নাব্য সঙ্কটে পড়েছে। এক সময়ের উত্তাল-খর স্রোতা নদীগুলোতেও পলি জমে চর জেগে উঠেছে।

কোথাও কোথাও আবার নদী শুকিয়ে হয়েছে খাল। অভ্যন্তরীণ রুটে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে ফলে লঞ্চ চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে আর ভোগান্তিতে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীর । নাব্যতা সংকটের কারণে দাশমিনা-ঢাকা, দশমিনা-বরিশাল রুটে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে নৌযান। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। কিছু পয়েন্টে ড্রেজিং করা হলেও বেশিরভাগ রুটের বেহাল দশা বলে জানিয়েছে লঞ্চ চালকরা। জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের উত্তরঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম নৌপথ। এখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী লঞ্চে করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিনস্থানে যাতায়াত করেন। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে ওঠায় নৌযান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছে না নৌযানগুলো। নদীতে নাব্যতা সংকট।

লঞ্চ মাস্টার ও সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডুবোচরের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে চলতে হচ্ছে নৌযানগুলোকে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এ অঞ্চলের নৌপথ। এ অবস্থায় নৌপথের রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রেজিংয়ের দাবি তোলেন ভুক্তভোগীরা। একই সঙ্গে বয়া ও মার্কার বাতি না থাকায় ঘন কুয়াশার সময়ে লঞ্চ চালাতে বিপাকে পড়তে হয় বলেও অভিযোগ তাদের। একাধিক লঞ্চ চালক বলেন, নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এ কারণে গন্তব্যে যেতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। তাই এ নৌপথে ড্রেজিং জরুরি হয়ে পড়েছে।

দক্ষিণাঞ্চলের চলাচলকারী একাধিক লঞ্চের মালিক বলেন, ডুবোচরের কারণে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে, সঠিক সময়ে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, লঞ্চ চালাতে গিয়ে আমাদের পরিবহন খরচও অতিরিক্ত হচ্ছে। তাই রুটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রেজিং জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, নৌপথে নাব্যতা রোধ করার জন্য ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথের দ্রæত ড্রেজিং করে নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।

 

আপনার মতামত লিখুন :