পবিত্র ঈদুল মিলাদুন্নবী উপলক্ষে যুব সমাজের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর ২০২০

বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র ঈদুল মিলাদুন্নবী উপলক্ষে যুব সমাজের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা, বর্ণাঢ্য রেলি, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়
১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরী ৩০ শে অক্টোবর ২০২০ সকাল ১০টায় ফেনী সমিতি মিলনায়তন (৬ষ্ঠ তলা) ট্রপিকানা টাওয়ার, পুরানা পল্টন মোড়, ঢাকা। বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনার উদ্যোগে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র ঈদুল মিলাদুন্নবী উপলক্ষে যুব সমাজের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য রেলি, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। রেলি পল্টন থেকে শুরু করে দৈনিক বাংলার মোড় ঘুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব ঘুরে আবার পল্টন মোড়ে এসে সমাপ্তি হয়। রেলি শেষে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র ঈদুল মিলাদুন্নবী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া শেষে তোবারক বিতরণ করে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

উক্ত অনষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জননেতা এম এ মতিন- মহাসচিব, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুবনেতা গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া মানিক-সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জননেতা মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ছাত্রনেতা মুহাম্মদ ইমরান হোসেন তুষার, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা। ছাত্রনেতা শেখ মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিন রেজা,সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ) ছাত্রনেতা হাফেজ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা (ঢাকা মহানগর উত্তর), সভাপতিত্ব করেন: যুবনেতা ক্যান্সার গবেষক অধ্যক্ষ ডা: এস এম সরওয়ার, সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা, ঢাকা মহানগর।

মাওলানা হাফেজ আহমদ নিজামী শাফী, মাওলানা হাবিবুর রহমান, এড. হেলাল উদ্দিন, এড. মোক্তার আহমদ, হাফেজ জাহেদুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান, এড. আবুল কালাম আজাদ, মিজানুর রহমান, শাহাদায়াত উল্লা প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মতিন বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে ফ্রান্স যেই ব্যাঙ্গ চিত্র করেছেন তার তীব্র নৃন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং ফ্রান্সের সকল পণ্য ও ফ্রান্সের ইসলাম বিরুদী জনগণের সাথে সম্পর্ক ছিহ্ন করার আহ্বান জানান বিশে^র মুসলমাননের প্রতি। তিনি বলেন-শরীয়তের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য যিনি প্রিয় হাবিবের মিলাদ তথা জন্মের নবুয়তের মাধ্যমে দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। অসংখ্য দুরুদ ও সালাম সেই প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের উপর যার পবিত্র মিলাদ এর বার্তাবাহক ছিলেন হযরত বাবা আদম আলাইহিস সালাম থেকে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম পর্যন্ত সকল নবী রাসূলগণ মানবতার কান্ডারী মুক্তির দিশারী রহমাতুল্লিল আলামিন হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১২ ই রবিউল আউয়াল ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দে সোমবার সোবহে সাদিকের সময় দুনিয়ায় শুভ আগমন করেন।

যুগে যুগে সারা বিশ্বের ঈমানদার মুসলমানগন শরীয়ত সম্মত উপায়ে মিলাদুন্নবী দিবসে জশনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করে আসছে। এই জুলুস ঈমানদারদের ঈমানী খোরাক। শরীয়ত আলোকে এর দলিল ও ফজিলত আলোকপাত করা হলো- আরবিতে ‘জশন’ শব্দের অর্থ খুশি বা আনন্দ (লুগাতে কিশওয়ারী) ‘জুলুস’ শব্দটি ‘জলসা’ শব্দের বহুবচন এর অর্থ হলো বসা বা উপবেশন। আর ফার্সিতে- ‘জশন’ শব্দের অর্থ উৎসব, রাজকীয় অনুষ্ঠান এবং ‘জুলুস’ শব্দের অর্থ হলো আনন্দ মিছিল করা।(ফরহাঙ্গ-ই-রব্বানী)। ‘ঈদ’ শব্দের অর্থ খুশি এবং মিলাদুন্নবী শব্দের অর্থ নবীজির জন্ম (গিয়াসুল লুগাত, ফরহাঙ্গে রব্বানী, লিসানুল আরব, তাজুল উরুস) সুতরাং পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর অর্থ: নবীজির জন্ম উপলক্ষে ঈদ তথা খুশি উদযাপন করা। সভাপতির বক্তব্যে যুবনেতা ক্যান্সার গবেষক অধ্যক্ষ ডা: এস এম সরওয়ার বলেন ঈদ-এ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম্ উদযাপনের সাথে জড়িত আছে মুসলিম ইতিহাস ঐতিহ্য। প্রতি বছর ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপনের মাধ্যমে মুসলিম জাতি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা ও জীবনব্যবস্থাকে নিজেদের কর্মজীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজেদের জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে নতুন করে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়।

এদিন বিশ্ব মুসলিমদের জন্য নতুন করে আত্মিক পরিশুদ্ধির দিন। এই দিনে আমরা শপথ নেব যে নামাজ পরিত্যাগ করব না, হালাল-হারাম মেনে চলবো। সর্বোপরি নবীজির আদর্শে নিজেদের জীবন গড়বো। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর গোলামী করবো। কেননা, প্রিয় নবীর গোলামী ছাড়া মুক্তি মিলবে না। সর্বোপরি রাসুল প্রেমে অবগাহন করে সাচ্চা মু’মিন মুসলমান এ পরিণত হওয়ায় দীপ্ত শপথ নিয়ে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নিজেকে সমর্পণ করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করার দিন ১২ ই রবিউল আউয়াল। আমাদের প্রিয়নবীকে নিয়ে ইহুদী বাদেরা সে সকল ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশ করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে সাড়া বিশে^র মুসলমান একত্রিত হয়ে তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।

 

আপনার মতামত লিখুন :