কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একজন করোনা যোদ্ধার গল্প

প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর ২০২০

করোনাকালিন এই সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা যেন ঘরে বসেই পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকেরা। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সালমা আক্তার রুমি।

প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের অনলাইন ক্লাসের হাত ধরে শুরু হয়েছে অনলাইন পাঠ্যদানের সুচনা। বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা উদ্যোক্তা জায়েদা ইয়াসমিন। অন্যতম এডমিন মোস্তফা কামাল জিয়া ও নাজমুজ সাকিব কনার পরামর্শে শুরু করেন ক্লাস নেয়া। ও সালমা আক্তার রুমি তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। বিভিন্ন প্রতিকুলতা থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত বিভিন্ন বিষয় ১ম-৫ম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা, গনিত, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, বিজ্ঞান, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এমনকি আনন্দ দানের জন্য মহামারীতে শিক্ষাথিরা স্কুলে যেতে পারছেনা বলে বিনদনের জন্য অনলাইনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান ও কবিতা বিভিন্ন প্রোগ্রাম দিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ অনলাইন প্রাইমারি স্কুল সহ প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের মোট ১৪ টি পেইজে এবং সারা বাংলার আরও অনেক  অনলাইন পেইজে সে নিয়মিত নিয়ে যাচ্ছে বলে মুঠোফোনে কুয়াকাটা নিউজকে জানিয়েছে। এছাড়া তারা নিজ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত জুম ও ইমো গ্রুপে নিয়মিত বাড়ির কাজ আদায় এবং যাদের স্মার্ট ফোন নেই তাদের সাথে মুঠো ফোনে পড়াশোনার এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ তিনি নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছেন, হাজারো সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে এই পর্যন্ত তিনি ৮০টি ক্লাস দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের পাঠ বইয়ের সাথে যুক্ত রাখা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা ১৪ বছরের চাকরিজীবনে একমাত্র লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন তিনি নিজে স্বপ্ন দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের সপ্ন দেখান, সপ্নের ফেরিওলা হতে চান তিনি, আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে।

https://www.facebook.com/ramgarhonlineschool/videos/983190392178669

 

আপনার মতামত লিখুন :