মহিপুর থানার সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শেষ সময়ের প্রচার প্রচারনায় সরব

প্রকাশিত : ১৭ অক্টোবর ২০২০

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সে লক্ষে প্রার্থীদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে শেষ সময়ের প্রচার প্রচারনা। ভোটারদের মন জয় করতে বাড়িতে বাড়িতে ছুটছেন তারা। দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রæতি। এ ইউনিয়নের জনপদে গ্রামীণ সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন উন্নয়ন না থাকায় অনেকটাই ক্ষুব্ধ ভোটাররা। মৎস্য বন্দর খ্যাত মহিপুর ইউনিয়নকে মডেল হিসেবে রুপান্তরিত করতে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নিবেন তারা। কে হবে মহিপুর থানার সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান তা আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে এনমটাই জানিয়েছেন সাধরন ভোটাররা। তবে একে অপরের বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়ে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন ২ জন। এর মধ্যে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনীত নৌকা মার্কা প্রতীকে আঃ মালেক আকন্দ তার প্রতিদ্বন্দ¦ী প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্র আনারস প্রতীক নিয়ে রয়েছেন মো.ফজলু গাজী। এছাড়া সংরক্ষিত নারী ৮ জনসহ সদস্য পদে লড়ছেন মোট ৩৬ জন প্রার্থী। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৭ ’শ ৬৯ জন। ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রচারণায় পিছিয়ে নেই ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীরাও। তারাও দিচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী নেই বিএনপির। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট হলে পাল্টে যেতে পারে সব হিসাব নিকাশ বলেছে সাধারন ভোটারা।

স্থানীয় একাধিক ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মহিপুর ইউনিয়নের রাস্তা ঘাটের কোন উন্নয়নের তেমন কোন ছোঁয়া লাগেনি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে এখন নির্বাচনী হাওয়া বইছে। মহিপুর সদর ইউনিয়ন মানে একটি নতুন থানা। থানা সদরটি যে ভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে উন্নয়ন হওয়া উচিৎ ছিল, সে ভাবে হয়নি। কারন নতুন থানায় রাস্তা ঘাটের দরকার, তা হয়নি। এ ইউনিয়নে এমনই একজন চেয়ারম্যান দরকার সে এমপি, মন্ত্রী ও সরকারের মাধ্যমে অত্র মহিপুর থানাকে মডেল থানা পরিনত করতে এবং সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত ইউনিয়ন গড়ে তুলতে পারবে সেই ব্যাক্তির নির্বাচিত হওয়া উচিৎ। তবে তাদের দাবী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট গ্রহনের। নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী আবদুল মালেক আকন্দ বলেন, নৌকা মার্কার নিশ্চিত বিজয় দেখে আমার বিরুদ্ধে ষরযন্ত্র চলছে। তবে বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে আরো সম্প্রসারন করতে নৌকার বিকল্প নেই। জয়ের লক্ষ্যে তিনি শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.ফজলু গাজী বলেন, এ ইউনিয়নটি খুবই অনুন্নত। ইউনিয়নের বড় উন্নয়ন হলো রাস্তা ঘাট। সেটাই নাই। মাদকের বিরুদ্ধে আমার কোন আপোষ নাই। ১৯৯২ সালে ইউপি সদস্য ছিলাম। সেই থেকে এ পর্যন্ত ২৮ বছর ধরে জনগনের পাশেই আছি। যেমন করোনার সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সারা দিয়েছি। সে বলেছেন যারা বিত্তবান আছেন তারা গরীবের পাশে দাঁড়ান। তার ডাকে সাড়া দিয়ে আমি এ ইউনিয়নের ১৩০৭ পরিবারকে ২০ দিনের খাবার দিয়েছি। গরীবের পাশে আছি বিধায় এ ইউনিয়নের জনগন আমার পাশে আছে। তিনি বলেন, আমার বিপক্ষের লোকজন আমার পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে। এছাড়া বহিরাগতরা এসে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকার্তা, নির্বাচন অফিস ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট হলে জয়ের লক্ষ্যে তিনিও শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপজেলা রিটানিং ও নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুর রশিদ বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোটের লক্ষে সকল ধরেন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :