মৌলভীবাজারে বিচক্ষন এক বিচারক মুহাম্মদ আলী আহসান

প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর ২০২০

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: মুহাম্মদ আলী আহসান ১২ জুলাই, ১৯৮০ ইং সালে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার পাকশী ইউনিয়নের যুক্তিতলা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করে। তিনি মুন্সীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় হইতে এসএসসি এবং সরকারি হরগংগা কলেজ, মুন্সীগঞ্জ হতে কৃতিত্বের সহিত এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ইংরেজি মাধ্যমে এলএলবি অনার্স ও এলএলএম ডিগ্রী লাভ করেন।

এরপর একটি স্বনামধন্য মানবাধিকার সংস্থায় দুস্থ ও নির্যাতিত মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় দুই বছর চাকুরী করেন। পরবর্তীতে তিনি ২৪ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিচার বিভাগে সহকারী জজ পদে বরিশাল জেলা জজ আদালতে যোগদান করেন। তিনি বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, বরিশাল ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কিশোরগঞ্জ, এপ্রিল ২০১৩ ইং সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে। এরপর তিনি গাজীপুর জেলা জজশীপ ও রংপুর জেলা জজশীপে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বেসরকারি উত্তরা ইউনিভারসিটি আইন বিভাগে খন্ডকালিন অধ্যাপনা করেন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ের পরীক্ষক হিসেবেও নিয়োজিত ছিলেন। তাছাড়া তিনি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধীন অধস্তন আদালত ব্যবস্তাপনা শক্তিশালীকরণে আইন ও বিচার বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরন প্রকল্পের আওতায় Western Sydney university, Australia  লাভ করেন।

তিনি Human Rights, juvenile Justice,  Women Rights, Children Rights, Alternative Dispute Resolution,  Survey and Settlement,  Clinical Legal Education,  Judicial Administration ইত্যাদি প্রশিক্ষণ কোর্স সহ অনেক জাতীয় সেমিনার ও প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি মৌলভীবাজারে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদানের পর হতে মেধা, বিচক্ষণতা আর সৃজনশীলতায় দ্রুত বিচারাধীন মামলা পরিচালনায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করে আসছেন।

মহামারি করোনা ভাইরাসে অনেক মামলার জট সৃষ্টি হলেও সেগুলো নিষ্পত্তির বিষয়ে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মুহম্মদ আলী আহসান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ২৭/০৫/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ মৌলভীবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসিতে যোগদানের পর প্রায় বিশ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়। তন্মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাঁচ বছরের অধিক পুরাতন ৫৭৮ টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়।

এ বিষয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির প্রশাসনিক কমকর্তা বলেন যে, বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্যার সহযোগী ম্যাজিস্ট্রেটগণের সহযোগিতায় মামলা বিশেষ করে পুরাতন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া, নির্মাণাধীন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের নির্মাণ কাজ তদারকি ও তত্ত্বাবধান করে একটি সুন্দর বিচারালয় উপহার দেয়ার চেষ্টা করছেন। সাথে সাথে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের সবাইকে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি আদশ বিচারালয় প্রতিষ্টায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :