গলাচিপায় স্বামী তালাক না দিলেও ঘরে উঠতে পারেনি সাবিকুন নাহার লাকী

প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর ২০২০

গলাচিপা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়ালীর গলাচিপা উপজেলা পৌরসভার প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৭ নং ওয়ার্ডের ফিডার রোডের বাসিন্দা মোঃ আমির হোসেন আকন এর ছেলে মোঃ মাসুম বিল্লার সাথে একই ওয়ার্ডের সবুজ বাগ এলাকার বাসিন্দা মোঃ গিয়াসউদ্দিন মিয়া এর মেয়ে সাবিকুন নাহার লাকী এর সাথে ১৫ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সরোজমিনে গিয়ে জানা যায় মাসুম বিল্লা বিগত ২৫ বছর যাবত সৌদি আরব থাকে তবে সৌদি থেকে আসার পর ১৫ বছর আগে তাদের বিবাহ হয় এবং তাদের ঘরে ১২ বছরের মুসফিকুর রহমান নামে একটি ছেলে আছে।

স্বামী বিদেশ থাকায় সাবিকুন নাহার লাকীরকে তার শশুর, শাশুড়ী, দুই ননদ, দুই ননদের জামাই, ননদের ছেলে রাকিব ঘরে উঠতে দেয়নি। ভুক্তভোগী আরো যানান আমার শশুর শাশুড়ী বলেন তার ছেলে আমাকে তালাক দিয়েছে কিন্তুু আমার জানা মতে আমার স্বামী আমাকে তালাক দেয়নি, গত ১ বছর আগে আমার স্বামী বাংলাদেশ এসে ছিলো যদি সে আমাকে তালাক দেয় তাহলে সে আমাকে জানাবে কিন্তুু সে তো আমাকে জানায় নি তা হলো কি বুঝবো, এটা আমার সাথে ও আমার ছেলের সাথে প্রতারনা করা, আমি তাদের অনেক অত্যাচার সয়ে আছি, আমি গত ৯-১০-২০২০ তারিখে সকালে বাবার বাসা থেকে স্বামীর বাসায় আসলে আমকে তারা ঘরে উঠতে দেয়নি গেটে তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়।

আমি সারাদিন বাড়ির সামনে অবস্থান করে থাকি, তারা আমাকে একটি নোটারী পাবলিক এর কাগজ দেখায় এবং থানায় গিয়েও সেই নোটারী পাবলিক এর কাগজ দেখায় কিন্তুু থানার অফিসার বলে এই কাগজটার কোন বৈধতা নেই। আমি ১০-১০-২০২০ তারিখ পর্যন্ত এখনো গেটের সামনে অবস্থান করছি আমাকে তারা এখনো ঘরে উঠতে দেয়নি,তারা বিকালে আমাকে ও আমার ছেলেকে মারধর করে আমি অসুস্থ হয়ে পরলে স্থানীয় লোক জন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করান। সে মতে আমি আইনের কাছে সঠিক বিচার চাই।

 

আপনার মতামত লিখুন :