লাউগাছ ও ফুলকপির বীজতলার চারা গাছ কেটে সাবাড় করল দূর্বৃত্তরা

প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে প্রতিহিংসার জের ধরে শতাধিক লাউগাছ কেটে দিল দূর্বৃত্তরা। ফলে রোজগারের সব শেষ আশা শেষ হয়ে গেছে ওই বর্গাচাষির। শুক্রবার দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দুধরাজপুর গ্রামে। ভুক্তভোগী বর্গাচাষির নাম লিংকন বিশ্বাস। লিংকন বলেন, তাঁদের গ্রামের শেখ লুৎফর রহমানের কাছ থেকে বছরে ৮ হাজার টাকা চুক্তিতে ১৭ শতক জমি বর্গা নেন।

এই জমির মধ্যে ১০ শতকে লাউগাছ, বাকি জমিতে বেগুন ও ঘাসের চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে লাউ গাছ গুলো বড় হয়েছে। লাউ বিক্রিও শুরু করেছেন। এই গাছের পেছনে তাঁর কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। আশা ছিল লাউ বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা আয় করবেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিকদার মো. মোহাইমিন আক্তার জানান, লাউয়ের খেত কাঁটার কোনো অভিযোগ এখনো পাননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরেক স্থানে ফুলকপির বীজতলার চারা গাছ কেটে সাবাড় করেছে দূর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের বিশারত মন্ডলের ক্ষেতের বীজতলায়। এতে ওই কৃষকের কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন। ভুক্তভোগী কৃষক বিশারত আলী জানান, বীজতলার চারা তুলে আগামী কাল থেকে চারা রোপনের সকল ধরনের প্রস্ততি কৃষক কবিরুল ইসলাম নান্নু জানান, সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে ফসলী ক্ষেত বিনষ্টের ঘটনা।

দূবৃর্ত্তরা রাতের আধারে একের পর এক নৃশংস ভাবে ধরন্ত -ফলন্ত ক্ষেত নষ্ট করছে। কৃষকেরা ধারদেনার মাধ্যমে ফসল চাষ করার পর ভরা ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় তারা একেবারে পথে বসছে। রাতের আধারে কে বা কারা লোক চক্ষুর আড়ালে এমন জঘন্যতম কাজটি করছে। যে কারনে ক্ষতিগ্রস্থরা নির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করতে পারছেন না। ফলে এমন ক্ষতিকর কাজ করেও মনুষ্যত্বহীন দুর্বৃত্তরা থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে।

এদিকে প্রায়ই ক্ষেত নষ্টের ঘটনা ঘটায় সবজি ক্ষেতের মালিকেরা রয়েছেন অচেনা এক আতঙ্কে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাফুজুর রহমান মিয়া জানান, কপির চারার বীজতলা কেটে সাবাড় করেছে এমন অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :