বরিশালগামী লঞ্চে নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা, সেই ব্যক্তি চিহ্নিত

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যাকাণ্ডের শিকার নারীর পরিচয় জানা গেছে। তবে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বরিশাল নৌ থানার এসআই অলক চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারলেও তদন্তের স্বার্থে তার নাম-পরিচয় প্রকাশে অপারগতা জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নৌ-পুলিশ পরিদর্শক আবদুল্লাহ-আল মামুন।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আজ মঙ্গলবার বিকেলে ওই নারীর লাশ শনাক্ত করেন তার পরিবারের সদস্যরা। পরে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে নৌ-পুলিশ। নৌ-পুলিশ সূত্র জানায়, নিহত নারীর নাম লাবণী। তার দুই ছেলে আছেন। তার স্বামী একজন ইলেকট্রিশিয়ান। ঢাকার পল্লবী-২ নম্বর এলাকার বাসায় থাকতেন তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়।

নৌ-পুলিশ সূত্র জানায়, চাকরির প্রলোভনে গত সোমবার ঢাকার সদরঘাট থেকে একজনের সঙ্গে লঞ্চযোগে বরিশাল আসছিলেন লাবণী। ওই দিন রাত ৯টা পর্যন্ত লাবণীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার বাবার। পরের দিন গতকাল সোমবার সকালে লঞ্চের কেবিন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ। তবে তার সঙ্গে থাকা ওড়না ও ব্যাগসহ অন্য আলামত নিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই নারীর পরিচয় উদঘাটন করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আঙ্গুলের ছাপ অনুযায়ী তার পরিচয় উদঘাটন করে পুলিশ। পরে তার স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ।

আজ বিকেলে হাসপাতাল মর্গের হিমঘরে ওই নারীর লাশ শনাক্ত করেন তার বাবা ও ভাই। সোমবার ওই নারীর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নৌ থানার পরিদর্শক আবদুল্লাহ-আল মামুন বলেন, ‘স্বজনরা শনাক্ত করার পর ওই নারীর লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :