টেকনাফ থানার অন্দরমহলে ওসি প্রদীপের টর্চার সেল!

প্রকাশিত : ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

টেকনাফ থানা যেন এক রহস্যময় দ্বীপ। ওসি প্রদীপের সময় থানার অন্দরমহল ব্যবহৃত হতো টর্চার সেল হিসেবে। যারা একবার প্রদীপ ও তার বাহিনীর সাজানো মামলায় থানার অন্দরমহলে গেছেন তাদের অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। স্থানীয়রা বলছেন সেবামূলক না হয়ে উল্টো জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে থানা। থানার সামনে ঘণ্টা পার করেও ফটকের নিরাপত্তা কর্মীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা ব্যর্থ। সাধারণ মানুষের শব্দ যখন মূল ফটক পেরোতে পারে না, তখন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ জানাতে কয়েক মুহুর্তে ফটকের সামনে ভিড় টেকনাফের মানুষের।

নাগরিক সেবা নয়, ভোগান্তি নির্যাতন আর ভীতি তৈরি করে রাখাই যেনে এই থানার একমাত্র উদ্দেশ্য। পারতপক্ষে থানার আশপাশে কেউ আসতে চান না। কারণ যারা একবার এর অন্দরমহলে গেছেন তারা কেউ ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন, কেউ পুলিশের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কেউ হয়েছেন সর্বশান্ত। আরো পড়ুনঃ ওসি প্রদীপের আরেক কীর্তি: বাবা-মেয়ের নামে ১০ মামলা, বছরভর কারাবন্দী একজন নারী জানান, একজনকে অন্ধকারে রাখা হবে কোন রেকর্ড ছাড়া।

আরেকজন বলেন, একাত্তরে আমি মেয়েদের নির্যাতন দেখিনি, কিন্তু এখানে দেখেছি। স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, থানাকে একটি ভীতিকর স্থান হিসেবে তৈরি করার দায় ঊর্ধ্বতনদেরও কম নয়। সুজন সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বলেন, পুলিশি সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে, নিশ্চয়ই সেখানেও একটা জবাবদিহিতা রয়েছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, পুলিশ হবে জনতার, কিন্তু এরকম কিছুই দেখা যায় না। বরং দেখা যায় পুলিশ নির্যাতন করছে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার পর এখন পর্যন্ত প্রদীপ ছাড়াও টেকনাফ থানার অন্তত অর্ধশত পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা-নির্যাতন-চাঁদাবাজি-ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আদালতে।

আপনার মতামত লিখুন :