বাড়িতে ঢুকে যে কারণে ইউএনও’র ওপর যুবলীগ সদস্যের হামলা

প্রকাশিত : ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাড়িতে ঢুকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় যুবলীগের বহিষ্কৃত সদস্য আসাদুলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার অন্যরা হলো- সান্টু ও নবীরুল ইসলাম। রংপুরে র‌্যাব কার্যালয়ে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, আটক আসাদুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছে, চুরির উদ্দেশেই তারা ওই হামলা চালিয়েছে। অপর দুইজন তার সহযোগী হিসেবে ছিল। তবে র‌্যাব বলছে, এটা আসাদুলের বক্তব্য, র‌্যাবের নয়। র‌্যাবের বিস্তারিত জানাতে সময় লাগবে। র‌্যাব আরও জানায়, সেন্টু ও নবীরুল দু’জনই রঙ মিস্ত্রি।

এর আগে ইউএনওকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ঘোড়াঘাট যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন ও সদস্য আসাদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে র‌্যাব। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জাহাঙ্গীরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর আসাদুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইউএনওর ওপর হামলার দায় স্বীকার করে আসাদুল। এ দিকে, র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের পরপরই কেন্দ্রীয় যুবলীগের পক্ষ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন ও সদস্য আসাদুল ইসলাম। যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল শুক্রবার বিকালে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ দিকে, দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচারের পর ভোরেই জ্ঞান ফিরেছে। বর্তমানে তাকে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীকালে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার ভোরে হাকিমপুর উপজেলার কালীগঞ্জ থেকে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাসহ মোট তিনজনকে আটক করা হয়।

 

আপনার মতামত লিখুন :