অসুস্থতার জন্য জামিনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হয়নি, মেয়াদ শেষে কী হবে?
প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০২০
অসুস্থতার জন্য জামিন নিলেও চার মাসেও চিকিৎসা হয়নি বেগম জিয়ার। এ অবস্থায় জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে। দ্রুতই এ সংক্রান্ত আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে দলের একটি সূত্র। যদিও বেগম জিয়ার পরিবার এ নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। বিএনপি বলছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি চিকিৎসা নিতে পারেননি। দুদক আইনজীবী বলছেন, মেয়াদ বাড়ানো হলে ভুল করবে সরকার।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর দুই মাস। মেয়াদ শেষ হলে কী হবে তা নিয়েই চলছে যত জল্পনা কল্পনা। দল ও পরিবার কি ভাবছে এ বিষয়ে সেটি নিয়েও তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। দলটির একটি সূত্র বলছে, খুব দ্রুতই শর্ত শিথিল ও মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আবেদন করবেন তার পরিবার। যদিও এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হয়নি পরিবারের কেউ। দলটির এক নেতাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনিও সরাসরি কোন উত্তর দেননি। তবে তিনি মনে করেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসা দরকার।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার চিকিৎসা। তবে করোনার কারণে এটা শুরু করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া উনার মামলাটি জামিন যোগ্য। চিকিৎসার জন্য মানবিক কারণে বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয়া হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকায় চার মাসেও চিকিৎসা হয়নি বলে দাবি করেছে দলটি। তবে দুদক আইনজীবী বলছেন, মুক্তির প্রক্রিয়াটি আইন সম্মত ছিল না। আবারও মেয়াদ বাড়ানো সঠিক হবে না।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সরকার যে সহানুভূতি দেখিয়েছে তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তার মানে এই নয় আপনি আইন ভঙ্গ করবেন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক দিক বিবেচনায় সরকারের নির্বাহী আদেশে গত ২৫ মার্চ দুই শর্তে মুক্তি পান বেগম জিয়া।