খাবারে নয়, হোটেল ভাড়ায় চিকিৎসকদের বেশি ব্যয়

প্রকাশিত : ১ জুলাই ২০২০

চিকিৎসক, নার্সসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিতদের থাকা-খাওয়া-যাতায়াতসহ যাবতীয় খরচ ২০ কোটি টাকা নয়, ২৬ কোটি টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। সকালে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। পরিচালক নাসির উদ্দিন আরো বলেন, ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের খাবারের বিল নিয়ে গণমাধ্যমে করা রিপোর্ট ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

গত কয়েকদিন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের একমাসের খাবারের বিল ২০ কোটি টাকা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদেও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা দেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, খাবারের বিল নিয়ে প্রচার হওয়া রিপোর্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা ও বানোয়াট। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তিন বেলা খাবার খরচ ৫০০ টাকা বলে জানান তিনি।

খাবারে নয়, বরাদ্দ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে হোটেল ভাড়ায়। এরপর খরচের তালিকায় রয়েছে খাবার ও যাতায়াত ব্যবস্থা। চিকিৎসায় নিয়োজিতদের যাতায়াতের জন্য প্রায় ১৫টি মিনিবাস, দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি দ্বিতল বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এগুলো দিয়ে প্রতিদিন তিন বেলা আনা-নেয়া করা হচ্ছে।

পরিচালক বলেন, ২ হাজার ২৭৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর এক মাসে হোটেলে থাকা-খাওয়া বাবদ খরচ হয়েছে ভ্যাট ছাড়া ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা। আর ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ খরচ পড়েছিল ১৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৭ টাকা। এর বাইরে ২ হাজার ২৭৬ জন জনের যাতায়াতে এক মাসে খরচ হয় ৪৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭০ টাকা। এর বাইরে রেলওয়ে হাসপাতালও চালাচ্ছে ঢাকা মেডিকেল। এরজন্য এক কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে বলেও জানান ডিএমসির পরিচালক।

গত দুই মাসে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় চিকিৎসক, নার্স, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং আনসার সদস্যসহ মোট ৩,৬৮৮ জন নিয়োজিত ছিলেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :