ভোট জালিয়াতির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে ২ বাংলাদেশি গ্রেফতার
প্রকাশিত : ২৯ জুন ২০২০
নিউজার্সির প্যাটারসন সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে এফবিআই। তাদের বিরুদ্ধে ১৯ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডাকযোগে আনা ব্যালটের মাধ্যমে শাহীন খালিক নামক এক প্রার্থীর বিজয় ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে প্রতারণার মামলা হয়েছে। ওই নির্বাচনে ১ হাজার ৭২৯ ভোট পেয়ে শাহীন জয়লাভ করেন। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান পান ১৭২১ ভোট। নির্বাচন কমিশনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে পুনরায় গণনার আবেদন জানান আক্তারুজ্জামান। দ্বিতীয় বারের গণনায় আকতারুজ্জামানের ভোট বাড়ে। তবে শাহীন খালিক এগিয়ে থাকেন ৩ ভোটে। এরপর আবারও গণনার অনুরোধ জানালে তৃতীয় দফায় উভয়ের সমান ভোট হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মামলার উদ্ভব হওয়ায় নির্বাচন কমিশন দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকার মধ্যেই নিউজার্সি স্টেট এটর্নি জেনারেল অফিস থেকে ভোট নিয়ে প্রতারণা, ভোট ডাকাতি এবং ভোট গণনার ফলাফল নিয়ে কারচুপির তদন্ত শুরু হয়। তদন্তের পরই গত ২৫ মে শাহীন খালিকের বড়ভাই সেলিম খালিক (৫১) এবং তার সমর্থক আবু রেজিয়েনকে (২১) গ্রেফতার করা হয়। সেলিম খালিকের বিরুদ্ধে ডাকযোগে আসা ব্যালট গণনায় প্রতারণা (তৃতীয় ডিগ্রি), বেআইনিভাবে ব্যালট নিজের কব্জায় রাখা (তৃতীয় ডিগ্রি), সরকারি নথির পরিবর্তন ঘটানো এবং ভোট গণনার ফলাফলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা তথ্য প্রদানের (চতুর্থ ডিগ্রি) অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে আবু রেজিয়েনের বিরুদ্ধে ডাকযোগে আসা ভোট প্রদানে প্রতারণা (তৃতীয় ডিগ্রি) এবং বেআইনিভাবে নির্বাচনের ব্যালট দখলে রাখা (তৃতীয় ডিগ্রি)’র অভিযোগ করা হয়েছে আদালতে। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল গুরবির গ্রুয়েল জানান, আমরা সকলকে জানাতে চাই যে, আপনি যদি নিউজার্সির কোনো পর্যায়ের নির্বাচনের ফলাফল জালিয়াতি-প্রতারণার মাধ্যমে পরিবর্তন করতে চান, তাহলে অবশ্যই আমরা তা বরদাশত করবো না। অবশ্যই আপনাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে মানুষের বিদ্যমান আস্থায় সন্দেহের বা প্রশ্নের উদ্রেক ঘটতে পারে-এমন কোনো আচরণকেই আমরা সহ্য করবো না।
সূত্র : সময় টিভি