শরীয়তপুরে সরকারি খাল ও অন্যের জমি দখল করে দোকানঘর নির্মান

প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২০

মোঃ ওমর ফারুক, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নে সরকারি খালে ও অন্যের জমিতে জোরপূর্বক দোকানঘর নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছিটু আসামীর (৫২) বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানিয়ে গত ১৪জুন উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে স্থানীয় বাসিন্দা ভুক্তভোগী আবু সাঈদ সরকার। এছাড়া ঐ জমির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানাগেছে, ২০ বছর ধরে তারাবুনিয়া মৌজার ১০৫৪ নং খতিয়ানের ১৪১০০, ১৪২৩৬, ১৪৩০৪ দাগে এবং এসএ ১৪৮ নং খতিয়ানের ৮৩৮১, ৮৩৮২, ৯০৮১ নং দাগের ৪ একর জমির মধ্যে ৮শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছে ছিটু আসামী। ঐ সময় তিনি সেখানে অস্থায়ী কাঁচা ঘর নির্মান করেছিলেন। তবে দলিল ও কাগজপত্র অনুযায়ী ঐ জমি দাবি করছেন, স্থানীয় আব্দুল হালিম, আবুসাঈদ ও আবু তাহের সরকার গংরা।

বর্তমানে ঐ জমির উপর এবং পাশের সরকারি খালের বিশাল অংশ দখল করে স্থায়ী পাকা ভবন নির্মান কাজ শুরু করে ছিটু আসামী। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভবন নির্মানে বাঁধা দিলেও কোন প্রকার কর্ণপাত করছেনা ছিটু আসামী। মানছে না আদালতের নিষেধাজ্ঞাও। ভুক্তভোগী আবু সাঈদ সরকার বলেন, ২০বছর আগে আমাদের জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে দোকানপাট তুলেছে ছিটু আসামী। এখন আবার সেই জমি এবং সরকারি খাল দখল করে পাকাভবন নির্মান করছে তারা। আমরা বলার পরও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা আদালতে মামলা করেছি এবং এসিল্যান্ড অফিসে অভিযোগ দিয়েছি।

তবে ছিটু আসামী বলেন, এগুলো আমাদেরই জায়গা। রেকর্ডীয় সম্পত্তি। এটা সবাই জানে।আমরা কোন সরকারি খাল বা অন্যজনের জায়গা দখল করি নাই। এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা জনাব, শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথেই সেখানে কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। সরকারি খালে কোন অবৈধ স্থাপনা তোলার সুযোগ নেই। তাই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :