নরসিংদীর পল্লী ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা, হাত হারালেন গৃহবধূ

প্রকাশিত : ২০ জুন ২০২০

এক পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে হ্যাপী আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূর জীবন বাঁচাতে হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। হ্যাপী আক্তার নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বৈলাব গ্রামের আলম মিয়ার স্ত্রী। মোস্তফা কামাল নামের ওই চিকিৎসক শিবপুর বাজারের তানিয়া মেডিকেল হল নামের একটি দোকানের মালিক। হ্যাপীর স্বামী আলম মিয়া জানান, গত ১২ জুন শুক্রবার আমার বাড়ির আঙ্গিনায় কাদামাটিতে পিচ্ছিল খেয়ে পড়ে হাতে ভেঙে যায় হ্যাপীর। পরে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নরসিংদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে হাড়ভাঙা ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে সবকিছু ঠিক করা হয়।

এসময় শিবপুর থেকে পল্লীচিকিৎসক মোস্তফার পরিচিত এক লোক আমাকে ফোন করে বলেন শিবপুরে অভিজ্ঞ হাড়ভাঙার ডাক্তার দ্বারা কম খরচে উন্নত মানের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। আপনার স্ত্রীকে নিয়ে চলে আসেন শিবপুরে। রোগী নিয়ে গেলে পল্লী চিকিৎসক মোস্তফা নিজে হ্যাপীর চিকিৎসা করেন। চিকিৎসার দুইদিন পরে অবস্থার উন্নতি না হয়ে অবনতি হলে হ্যাপীকে অন্য ডাক্তারের কাছে পাঠায় ওই পল্লী চিকিৎসক। পরে জানতে পারলাম আমার স্ত্রীর হাতে পচন ধরেছে। এ অবস্থায় হ্যাপীকে নরসিংদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করি।

তার জীবন বাঁচাতে অবশেষ বাম হাতের কনুই এর উপর থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে আমার স্ত্রী নরসিংদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক মোস্তফার কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, হ্যাপীর চিকিৎসা আমি করিনি, করেছে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার। তবে ওই ডাক্তারের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে তা জানাতে পারেননি তিনি। নাকের পলিপাসের চিকিৎসার অপারেশন পল্লী চিকিৎসক মোস্তফা নিজে ওষুধের দোকানের ভিতরেই থাকেন বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

আপনার মতামত লিখুন :