নীলফামারী স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে বিয়ে, অপহরণকারীসহ কাজী গ্রেফতার

প্রকাশিত : ১৭ জুন ২০২০

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় অপহরণ করে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেয়ার অভিযোগে অপহরণকারী ও কাজীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার খাটুরিয়া এলাকার মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে মানিক ইসলাম (৩২) ও খাটুরিয়া সেন্টারপাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মো. হাবিবুর রহমান (৬০)। এদিকে ছাত্রী বাবা ডোমার থানায় নারী নির্যতনের একটি মামলা দায়ের করেছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ডোমার বালিকা বিদ্যা নিকেতনের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় কয়েক মাস হতে উত্ত্যক্ত করে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী মানিক। গত ২৮ মে ছাত্রীটি তার খালার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় উপজেলার মেলাপাঙ্গা এলাকায় দুপুর ২টার দিকে মানিক তাকে অপহরণ করে মটরসাইকেল যোগে নিকাহ রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমানের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে জোর করে একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে নিকাহ রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান বলে, আজ থেকে তোমরা স্বামী-স্ত্রী। মানিক নাবালিকা মেয়েটিকে বিভিন্ন হুমকি ও ভয় দেখিয়ে বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করতে নিষেধ করে। এরপর মেয়েটি বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় একাধিকবার মেয়েটিকে জোর করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ভয়ভীতি দেখায়।

গত সোমবার (১৫ জুন) বিকালে মেয়েটি তার নানা বাড়ি যাওয়ার সময় পাঙ্গামটকপুর মুছার মোড়ে আবারো তাকে মানিক জোর করে মোটরসাইকেলে উঠানো চেষ্টা করে। এ সময় নাবালিকা মেয়েটির চিৎকারে ওই এলাকার মানুষজন তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। ডোমার থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেয়েটিকে উদ্ধার ও মানিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় মানিকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত ৮টার সময় নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী হাবিবুর রহমানকে তার বাড়ি হতে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) মেয়েটির বাবা বাবলু ইসলাম ডোমার থানায় নারী নির্যাতনের একটি মামলা দায়ের করেন। এতে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ডোমার থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজার রহমান গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, গোপনে কিছু নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে শিশু বিবাহ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :