বাগেরহাটে গার্মেন্টকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

প্রকাশিত : ১৫ জুন ২০২০

বাগেরহাটের শরণখোলায় এক গামেন্টকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। মোরেলগঞ্জ (সাকের্লের) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যাহার হওয়া তিন জন হলেন, এস.আই বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল মোঃ সেলিম ও মোঃ সোহাগ। এরা তিনজনই শরনখোলা থানায় কর্মরত ছিলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম জানান, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র স্যারের নির্দেশে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। পরে অভিযোগ উঠা তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক ভাবে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। রোববার সকালে অভিযুক্তরা পুলিশ লাইনে যোগদানের জন্য শরণখোলা থানা ত্যাগ করেন। পুলিশের নির্যাতনের শিকার উপজেলার মধ্য-খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা নাদের হাওলাদরের ছেলে গার্মেন্টস কর্মী স্বপনের ভাই আঃ হালিম জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে স্বপন নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।

এসময় শরণখোলা থানার ওসির প্রস্তাবে স্বপন মীমাংসায় রাজি হয়েছেন। যেহেতু ওই পুলিশদের ক্লোজড করা হয়েছে তাই আমাদের আর কোন অভিযোগ নেই। ১০জুন সকালে পারিবারিক বিরোধের ঘটনায় শরনখোলা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় স্বপনকে গ্রেফতার করতে যায় শরণখোলা থানা পুলিশ। এসময় এস.আই বিশ্বজিতের নেতৃত্বে কনস্টেবল সেলিম ও সোহাগ তার বাড়িতে প্রবেশ করেন। স্বপনের স্ত্রী শারমিন ঘরের দরজা খুলতেই পুলিশ ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত স্বপনকে বিছানা থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে মারধর শুরু করেন।

পুলিশ স্বপনকে ঘর থেকে মারতে মারতে রাস্তায় নিয়ে যায় এবং রাস্তায় ফেলে স্বপনকে উপুর্যপুরী মারপিট করে। পরে স্বপন অজ্ঞান হয়ে পড়লে শরনখোলা হাসপাতালে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে পুলিশ। এনিয়ে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। টনক নড়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের । এছাড়াও এস .আই বিশ্বজিত ডিবিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় নানা অভিযোগ রয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :