পাবনার সাঁথিয়ায় মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীর সন্তান প্রসব

প্রকাশিত : ১৫ জুন ২০২০

বাকী বিল্লাহ: (বেড়া-সাঁথিয়া)পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পদ্মা ক্লিনিকে মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী পুত্র সন্তান প্রসব করেছে। গতকাল শনিবার(১৩ ই জুন) বেলা ২ টার সময় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পদ্মা ক্লিনিকে এ সন্তানের জন্ম হয়।তবে এই নবজাতকের মায়ের পরিচয় থাকলেও এর বাবা কে এই নিয়ে জনমনে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন? কে হবে এই ছেলের বাবা, কি হবে তার বংশের পরিচয়।

কে নেবে তার দায়ভার। প্রত্যক্ষদর্শিদের মতে, ১৯/২০ বছর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধী নারী কাশিনাথপুর, দ্বারিয়াপুর, বিরাহিমপুর, চব্বিশ মাইল, দুলাই বাজার, চিনাখড়া বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতো।হোটেল বা কোন রেস্তোরাঁয় কখনো কখনো মানুষের দেয়া খাবারে তার জীবন জীবিকা চলে যেতো। যেখানে রাত হতো সেখানেই সে রাত্রি যাপন করতো। কিছু মানুষ রুপি জানোয়ারের লালসার শিকার হয় এই মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীটি। তরুণীর সন্তান সম্ভাবনার হওয়ার বিষয়টি এলাকার বিভিন্ন মানুষের দৃষ্টি গোচর হলে গত (৬ই জুন) ওই তরুণীর কয়েকটি ছবি তুলে তা ফেসবুকের মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন স্থানীয় স্বপন খন্দকার নামের এক ব্যক্তি। তারপর আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি (স্বপন খন্দকার) ওই নারীর সাহায্যে এগিয়ে আসবার জন্য সমাজের সচেতন মহলের প্রতি আহবান জানান।

তার আহবানে সারা পড়ে যায় চারিদিকে, আর কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি এবং বিডি এভারগ্রীন(এভারগ্রীন ফ্রেন্ডস সার্কেল) নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসেন।তারপর (১৩ই জুন) দুলাই- চিনাখড়ার মধ্যবর্তী একটি গুচ্ছ গ্রাম থেকে ওই তরুণীকে নিয়ে এসে কাশিনাথপুর পদ্মা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।শনিবার দুপুর ২ টার সময় ওই তরুণী পুত্র সন্তান প্রসব করে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই তরুণীকে খাদ্য, ঔষধ, নগদ সহায়তা করেন কাশিনাথপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রফেসর মোঃ শফিকুল ইসলাম খান টিটুল, বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ আল-আমীন, এসআই শেখ সজীব, এবং পদ্মা ক্লিনিকের পরিচালক মোঃ সুজন হোসেন এবং বিডি এভারগ্রীন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের শেখ শাহীন ও কৌশিক আহমেদ অনিক-সহ অনেকে। কুয়াকাটা নিউজকে শফিকুল আলম খান টিটুল বলেন, বিষয়টি আমাকে জানানোর পরে আমি আর থাকতে পারিনি। মানবিক কারনেই আমাকে ছুটে যেতে হয়েছিল ওই তরুণীর পাশে।

তবে ঘৃণা জানাই ওই সকল নরপশুকে যারা মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীকেও তাদের লালসার শিকার হতে রেহাই দেয়নি। দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এরকম পাপিষ্ঠ কাজ করতে একটুও দ্বিধাবোধ করেনি। একজন মানুষ হিসেবে এটা আমাদের জন্য কাম্য নয়।যে ব্যক্তি এই মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীর সাথে এরকম নরপশুর মতন কাজ করেছে তার জন্য কঠিন দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

 

আপনার মতামত লিখুন :