ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সরকারি খাল ভরাট করায় পানিবন্দী ২০০ পরিবার

প্রকাশিত : ১২ জুন ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দিপূর্ব গ্রামের একটি সরকারি খাল দখল করে বালি ভরাট করায় ওই এলাকার প্রায় ২০০ পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী মাজহারুল হক মেরাজ এ খালটি ভরাট করে ফেলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বৃহস্পতিবার (১১ জুন) এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দিপূর্ব গ্রামের ভলাকুট মৌজার ১১,৭৫৭ দাগের সরকারি খালটি দখল করে বালি ভরাট করে ফেলেছেন মাজহারুল হক মেরাজ নামে একজন প্রভাবশালী। এতে করে ওই এলাকার দুইশত পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি গ্রামবাসীকে মামলার হুমকি দেন। গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ওই ব্যক্তিকে সরকারি খালটির দখল ছাড়তে অনুরোধ করলেও তিনি কারো কথায় কর্ণপাত করেননি। ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন, জাকির হোসেন, জায়েদা আক্তার, জাহানারা বেগম, আছিয়া বেগম, হোসনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ঘর বাড়ি, রাস্তাঘাট সব পানির নিচে চলে গেছে।

সরকারি খাল দখল করে ভরাট করে ফেলার কারণে আমরা জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় গ্রামের ২২ জনকে আসামি করে একটি মামলাও করেছেন মেরাজ।  এদিকে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাজহারুল হক মেরাজ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা সরকারি খাল নয়, আমাদের ব্যক্তি মালিকানা জায়গার উপর দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। এতে আমাদের কোনো বাধা নেই। পার্শ্ববর্তী লোকজন জায়গা-জমি ভরাট করায় আমাদের জায়গাও ভরাট করছি। সরকারি খাল দখলের প্রশ্নই উঠে না। অন্যদিকে এ ব্যাপারে ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুবেল মিয়া বলেন, স্থানীয়ভাবে আমরা এ সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছি।

কিন্তু মাজহারুল হক মেরাজ কারো কথা শুনতে চান না। তিনি জোরপূর্বক সরকারি খাল দখল করে রেখেছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। এ পর্যন্ত তিনি এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফী বলেন, ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রামে থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :