কলাপাড়ার নীলগঞ্জ আবাসনের পরিবার গুলো মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে

প্রকাশিত : ১১ জুন ২০২০

নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন), কলাপাড়া: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ গ্রামের আন্ধারমানিক নদীর তীর ঘেষে অবস্থিত নীলগঞ্জ আবাসন। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর আগে এ আবাসনটি নির্মান করা হয়েছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ায় আবাসনের ঘরগুলো এখন বসবাস অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এখানকার বেশিরভাগ পরিবারের মানুষগুলো খেটে খাওয়া দিনমজুর প্রকৃতির হওয়ায় ঝড়, বন্যা জলোচ্ছ্বাসের সাথে যুদ্ধ করে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আবাসনে দুইশত আশিটি পরিবারের বসবাস। এ পরিবারগুলো তিনটি ব্যারাকে বসবাস করে। প্রথমটিতে আশি পরিবার, দ্বিতীয়টিতে সত্তর পরিবার ও তৃতীয় ব্যারাকে একশত ত্রিশ’টি পরিবার। এই পরিবার গুলোর বেশির ভাগই দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। এর অধিকাংশ অর্থহীন অস্বচ্ছল পরিবার। তাই কোন মতে তারা মানবেতর দিন যাপন করছে। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে রাতের বেলায় একটু প্রশান্তির আশ্রয় খোঁজে সরকারের বরাদ্ধ দেয়া আবাসনে। অথচ তাদের সোনালী স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে যায় । তাদের ঘরগুলো অ্যাঙ্গেল টিন দ্বারা তৈরি হওয়ার কারণে অল্পতে সেগুলো মরিচা ধরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গেছে । যার কারণে এগুলো বর্তমানে অত্যান্ত দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। নদীর তীরে ও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস কালবৈশাখী ঝড় বারবার আঘাত করার কারণে বর্তমানে ঘরগুলো বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, বিগত ২০ শে মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের বাতাসের কারণে অধিকাংশ ঘরের চাল ও বেড়ার টিন উরিয়ে নিয়ে গেছে। তাই এখন তাদের অধিকাংশ পরিবার পলিথিন দিয়ে বসবাস করছে। ১৩০ ব্যারাকে বসবাসরত সুশান্ত হালদার বলেন, আমার ঘরের চাল নাই বললেই চলে। তাই আমি পলিথিন কিন্না হেইয়ার পরে ( তারপর) হুতলি (সুতলি) দিয়া টানাইয়া লইছি। তিনি আরও বলেন তারপরেও জল থামাতে পারছিনা শেষ পর্যন্ত বসে বসে রাত কাটাতে হয়। সুশান্ত এর মতো শতাধিক পরিবার এই একই রকম অভিযোগ করেন। তাদের বসবাসরত ঘরগুলো মেরামত করে বসবাস উপযোগী করে দেয়ার বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।

এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, বিষয়টি আমি জানলাম, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :