কোটচাঁদপুরে হলুদ সাংবাদিক কর্তৃক যুবতী নারীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ায় সাংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত : ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে হলুদ সাংবাদিক কর্তৃক যুবতী নারীকে  কু-প্রস্তাব দেওয়ায় সাংবাদ সম্মেলন করেছে মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের মোঃ হাসান আলীর কন্যা ভুক্তভোগী শিউলি আক্তার সাথী। ২ ফেব্রুয়ারি/২০২০ বিকালে কোটচাঁদপুর পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে সাংবাদিক রায়হানের বিরুদ্ধে অভিযোগ কওে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐ নারী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি রাজশাহী থেকে অপারেশন করে আসার পর হতে বিশ্রাম ও সু চিকিৎসার প্রয়োাজনে কোটচাঁদপুর শহরে বাসা ভাড়া নিই। গত ৩১ জানুয়ারি ২০২০ আমি অসুস্থ থাকায় এবং আমার বাবার বাসা থেকে ফ্রিজ নিয়ে আসায় আমার এক বোনকে বাসায় আসতে বলি এবং বাসার উপরে ফ্রিজ উঠানোর জন্য আমার বন্ধু জিপুকে বাসায় আসতে বলি।

 

আমার বন্ধু তার বড় ভাই জনি হাসানকে নিয়ে আমার বাসায় আসে ফ্রিজটি উপরে উঠিয়ে দেয়ার জন্য। এ সময় স্থানীয় কিছু বখাটে ছেলেরা বাইরের গেটে তালা লাগিয়ে দেয় এবং হলুদ সাংবাদিক রায়হানকে খবর দেয়। তারা উপরে এসে বলে তোমরা এখানে অনৈতিক কাজ করছো। তাৎক্ষনিকভাবে কথিত সাংবাদিক রায়হান বলে আমাদের কে এক লক্ষ টাকা না দিলে আমি তোমাদের ব্যাপারে লিখবো যে তোমরা অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলে এবং অনেকদিন ধরে এ কাজ করে আসছে। তখন আমি বলি আমরা এখানে খারাপ কিছুই করিনি, আমি কেনো আপনাকে টাকা দিতে যাবো। তখন কথিত সাংবাদিক রায়হান আমাকে গোপনে ডেকে বলে, আমার সাথে ২/৩ দিন সময় কাটালে বিষয়টি কেহ জানবে না। রায়হানের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে পুলিশকে খবর দিয়ে মিথ্যা বানোয়াট কথা বলে আমাদের থানায় প্রেরণ করে ও মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠায়। পরবর্তীতে ১-২-২০২০ তারিখে আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে বাড়িতে আসি। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন কথিত নামধারী সাংবাদিক রায়হান আমাকে দীর্ঘদিন যাবৎ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ভুক্তভোগী আরও বলেন সাংবাদিক হচ্ছে জাতির বিবেক, তাদের লেখনীর মাধ্যমে অসহায় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।

 

সেই সাংবাদিকদের কাছে যদি মানুষ নিরাপদ না থাকে, তাহলে আমাদের মত সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ, পশু চিকিৎসক জিপু হাসান, জনি হাসান উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা লিমন হোসেন সহ ভুক্তভোগী মহিলার আত্মীয়-স্বজন। তারা সকলে কথিত নামধারী সাংবাদিক রায়হানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই এবং প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে। এ বিষয়ে সাংবাদিক রাইহানের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে কোটচাঁদপুর থানার ওসি জানান, অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে গতকাল শনিবার দুজন ছেলে ও দুজন মেয়েকে আটক করে জলে হাজতে পাঠানো হয়, পরে তারা জরিমানা দিয়ে জামিন নিয়ে এসে সংবাদ সম্মেলন করেছে, মুলত তারা অপরাধি। তিনি বলেন, আটকের সময় তারা অসামাজিক কার্যকলাপের কথা স্বিকার কওে ও তাদেও কাছে আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গেছে। তিনি আরো বলেন সংবাদ সম্মেলনে যারা উপস্থিত ছিলেন তারাই মূলত অপরাধের সাথে সর্বদা সংযুক্ত থাকে।

আপনার মতামত লিখুন :