পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের অসহায় মানুষের মাঝে নিজ তহবিলে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ

প্রকাশিত : ২২ মে ২০২০

বাকী বিল্লাহ:(সাঁথিয়া-বেড়া)পাবনা প্রতিনিধি: প্রানঘাতী করোনা পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক চলমান অবস্থা অচলাবস্থা।গরীব, দুঃস্থ,অসহায় মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি বিপদের সম্মুখীন। দীর্ঘদিন ঘরবন্দী গরীব,দুঃস্থ খেটে খাওয়া হতদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর মাত্র ২/৩ তিনদিন পরে ঈদুল ফিতরের ঈদ উদযাপন হবে মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি ঘরে। সামর্থ্য অনুযায়ী কেউ কেউ নতুন জামা-কাপড় পরিধান করবে। কিন্তু গরীব,দুঃস্থ,অসহায় মানুষের কি হবে? এমনটাই প্রশ্ন জাগে মনে।

আর দেরি না করে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের গরীব, দুঃস্থ, অসহায় ৪০০ পরিবারের মাঝে ব্যাটারি চালিত অটোভ্যানে করে শাড়ি ও লুঙ্গি নিয়ে নিজ এলাকার ইউনিয়নের গরীব, দুঃস্থ অসহায় মানুষদের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করতে ছুটে যান সাবেক সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছাত্রলীগ ও বর্তমান সাঁথিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড এর ১ নং যুগ্ম-সম্পাদক তরুণ প্রজন্মের অহংকার মেহেদী হাসান। গতকাল বুধবার (২০ মে) ভোর থেকে এলাকার ৪০০ পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাড়ি ও লুঙ্গি পৌঁছে দেন তিনি। এসময় তার খালাতো ভাই বিপ্লব হোসেন-সহ এলাকার ভক্তরা সঙ্গে ছিলেন।

মেহেদী হাসানকে নিজ বাড়িতে দেখে এবং তার হাত থেকে উপহার পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকে। ইউনিয়নের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, ছোটবেলা থেকে মেহেদীকে দেখেছি গরীব,দুঃস্থ, অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে। যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তান।মেহেদীর বাবা মন্তাজ আলী চতুর একটানা ৪ বার করমজা ইউনিয়ন পরিষদের সৎ যোগ্য চেয়ারম্যান ছিলেন। আজ অনেকদিন পর মেহেদী আমাদের বাড়িতে আসলেন। সঙ্গে আমাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছেন। এতে আমরা খুব খুশি হয়েছি। আল্লাহ মেহেদীকে বাঁচাইয়া রাখুক। মেহেদী আরও বড় হোক সুনাম অর্জন করুক এই দোয়া করেন সবাই।স্থানীয়দের মধ্যে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ শেষে মেহেদী হাসান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের অবস্থা খুব করুণ। এ অবস্থায় তারা ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে কিছুই করতে পারছে না।

অনেক গরিব, দুঃস্থ অসহায় মানুষ আছেন যারা ঈদে নতুন কাপড়ও কিনতে পারবেন না। তাই মানবিক দিক থেকে আমি আমার এলাকায় সামর্থ্য অনুযায়ী ৪০০ পরিবারের গরীব,দুঃস্থ অসহায় মানুষের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেছি। এছাড়াও এর আগে ৫০০ লিটার শিশুখাদ্যসহ দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীও দেওয়া হয়েছে। আশা করি আমাকে দেখে সব বিত্তবানরা এ ধরনের মানবিক কাজে এগিয়ে আসবেন। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

 

আপনার মতামত লিখুন :