ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ থেকে রক্ষায় উপকূলজুড়ে প্রশাসনের প্রস্তুতি

প্রকাশিত : ১৯ মে ২০২০

ঘূর্ণিঝড় আম্পাননের আঘাত থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। উপকূলীয় এলাকায় বার বার মাইকিং করা হচ্ছে। তবে এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি উপকূলবাসী।

ভোলা
২০০৭ সালে তাণ্ডব চালানো সিডরের মতোই শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে আম্পান। ভোলার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে তাই চলছে সতর্কতামূলক মাইকিং। মাঠে সক্রিয় সিপিপির ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। উপকূলবাসীকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শতাধিক মেডিকেল টিম ও জরুরি খাদ্য সামগ্রী প্রস্তুত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন।

বরিশাল
বরিশালের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতেও মাইকিং করছেন সিপিপির সদস্যরা। লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান নোঙর করা হয়েছে বন্দরে। এছাড়া বরিশাল বিভাগে ৬ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মোংলা
মোংলা সমুদ্রবন্দরে ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় দু’টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার খুলেছে প্রশাসন।

সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। এদিকে জরুরি সেবা ও ত্রাণ বিতরণের জন্য সিপিপি, রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে নোঙর করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার ৭ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র। এছাড়া ফেনী ও বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলাসহ সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

 

আপনার মতামত লিখুন :